নিম্নলিখিত উপদফায় বর্ণিত উদ্দেশ্যাবলী সামগ্রিকভাবে বা আংশিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য এই সোসাইটি গঠন করা হইল। যাহা বাস্তবায়নের জন্য সরকার অথবা কতৃপক্ষ/উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ এর পূর্বানুমোদন গ্রহন করিতে হইবে এবং সমিত নিবন্ধন করণ আইনের ২০ ধারার পরিপন্থী কোন উদ্দেশ্য/উদ্দেশ্যাবলী অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।
১. সম্ভাব্য সকল উপায়ে আধুনিক শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু করণ এবং সেইসাথে সবার মাঝে গণশিক্ষা ও সুস্বাস্থ্য গঠনের কার্যক্রম চালু করা এই সোসাইটির অন্যতম লক্ষ্য।
২. সোসাইটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের সহায়তা করা গবেষণার প্রধান দিক এবং গবেষণার সূচনা কার।
৩. বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলোর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার মূল্যায়ন ও বৃত্তি প্রদান করা।
৪. প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের মাঝে শিক্ষর আলো বিস্তার করা।
৫. মাদ্রাসা ও ইয়াতিম খানা প্রতিষ্ঠা করা।
৬. বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন, প্রি-ক্যাডেট স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা পরিচালনা করা।
৭. স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী ও বেকার নারী পুরুষের জন্য শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করা।
৮. উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা চালু করা।
৯. আনুষ্ঠানিক শিক্ষা চালু করা, শিশু শিক্ষা কোর্স (ঈযরষফ ঊফঁপধঃরড়হ ঈড়ঁৎংব) কারিগারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা করা।
১০. যে কোন ভাষার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোর্স চালু করা ও সোসাইটির কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্প, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রশ্নপত্র তৈরিকরণ, বই মুদ্রণ ও প্রকাশনা, খাতা,ডাইরী, আইডি কার্ড তৈরিকরণ, সংবাদপত্র প্রকাশ, সাময়িকী প্রকাশ ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সরবরাহকরণ।
১১. ভোকেশনাল স্কুল : এখানে বেকার ও স্বল্প শিক্ষিতদের মাঝে টেইলারিং, রেডিও, টিভি মেরামত, ইলেকট্রিক্যাল, প্লাম্বিং, ওয়েল্ডিং ইত্যাদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
১২. গণশিক্ষা ও মক্তব প্রকল্প চালু করার মাধ্যমে সকল স্তরের মানুষকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।
১৩. দরিদ্র মানুষের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা।
১৪. বাংলাদেশের কিন্ডারগার্টের ও প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলোর শিক্ষার মান ও পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান, গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরী ও উপরণসমূহ সরবরাহকরণ। এছাড়াও ত্রান ও পূর্ণবাসন পরিচালনা করা।
১৫. এ লক্ষ্য উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে কোন সমিতি বা প্রতিষ্ঠান গঠিত হলে, ঐ প্রতিষ্ঠানকে যে কোন উপায়ে সাহয্য ও সহযোগিতা কার।
১৬. সোসাইটির স্বার্থ-অধিকার সম্পত্তি উর্বর সাধন, স্থবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, ইজারা গ্রহন, ভাড়া গ্রহণ বা অন্য যে কোন উপায়ে অর্জন করতে পারবেন এবং সোসাইটির প্রয়োজন মনে করলে উহার উন্নয়নে ইজারা গ্রহণ বা বন্ধ বা অন্য যেকোন উপায়ে উহা ব্যবহার করতে পারবে।
১৭. সোসাইটির উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করা। হাঁস-মুরগী খামার, মৎস খামার, কুটির শিল্প গড়ে তুলে স্বনির্ভরশীল করা।
১৮. ”একবিংশ শতাব্দী সবার জন্য বৈজ্ঞানিক শিক্ষা” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের রাজধানীসহ যে কোন শহর বা গ্রাম অঞ্চলে দাতব্য চিকিৎসালয়, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, দাখিল মাদ্রাসা, মক্তব, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, স্কুল, টেকনিক্যাল কলেজ, কিন্ডারগার্টেন, লিল্লাহ বোর্ডি, এতিমখানা ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা।
১৯. আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি, সমৃদ্ধি ও চেতনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাস্তব বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশ ও উন্নয়ন সাধন করা।
২০. সমিতির সদস্য ও জনসাধারণের যে কোন ধরণের সমস্যা জনসাধারণ, সংস্থা বা সরকারের নিকট উপস্থাপন করা এবং উহার সুষ্ঠ সমাধানের ব্যবস্থা করা।
২১. সংবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশন, ছায়াছবি বা অন্য কোন ধরণের প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমিতি বা ইহার যে কোন কার্য সম্পর্কে প্রকার করা।
২২. সমিতির প্রয়োজনে দেশের যে কোন স্থানে শাখা অথবা প্রতিনিধি কার্যালয় স্থাপন করা।
২৩. দুর্ভিক্ষ, মহামারী, দুর্ঘটনা বা যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ বা বিপদগ্রস্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা এবং দাতব্য বা জনকল্যাণমূলক কোন কাজে আর্থিক সাহায্য করা।
২৪. সমিতির উন্নতিকল্পে স্থবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়, ভাড়া বা লিজ নেওয়া এবং নিজস্ব সম্পত্তির উপর ইমারত, দপ্তর বা অন্য যে কোন ঘর-বাড়ি স্থাপন করা এবং উহার রক্ষাণাবেক্ষণ কার।
২৫. সোসাইটি ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর বাৎসরিক চাঁদা, ভর্তি ফি বা জনসাধারণ অন্যান্য দান, সরকারি ও বেসকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন ধরণের দান বা অনুদান, প্রকাশিত সংবাদপত্র, বই ও সকল প্রকার প্রকাশনা বা সাময়িক পত্রের বিক্রয়লদ্ধ অর্থ এই সোসাইটির আয় হিসাবে গণ্য হইবে। এই আয় কোন অবস্থাতেই লভ্যাংশ বা বোনাচ হিসাবে এই সোসাটির সদস্যগণের কেহই গ্রহণ করিতে পারিবেন না। এ ছাড়াও কিন্ডারগার্টেন বৃত্তি পরীক্ষার ফি ও কেন্দ্র ফি সোসাটির আয় বলে গণ্য হবে।
২৬. নিরক্ষর মানুষের জন্য বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২৭. সেবা বঞ্চিত মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা খাতে অবদান রাখা।
২৮. দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে বই সরবরাহকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
২৯. শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৩০. দরিদ্র, এতিম ও অসহায় ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা করা ও ভূমিকা পালন।
৩১.ক) সোসাইটির কেন্দ্রীয় অফিস পরিচালনার জন্য সকল ব্যয় যেমন-অফিস ভাড়া, কর্মকর্তা ওকর্মচারীদের বেতন ভাতা এবং অন্যান্য খরচাদি।
খ) সোসাইটির শাখা গঠনের লক্ষ্যে সকল খরচাদি বহন।
গ) সোসাইটির কেন্দ্রীয় সংগঠনের কর্মকর্তা বা জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সংগঠনের প্রয়োজনে যাতায়াত ভাতা, সম্মানি ভাতা বা অন্যান্য খাতে ব্যয়।
ঘ) সোসাইটির সকল প্রকার প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করতে বা উদ্যোগ গ্রহণ করতে যে ব্যয় হবে।
ঙ) সোসাইটির সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, প্রচারসহ অন্যান্য সামাজিক কাজ করা।
চ) কেন্দ্রীয় অফিসের জন্য জমি ক্রয় ও গৃহ নির্মাণ ব্যয় করা।
ছ) বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়